ছিলেন পুলিশে, এখন মোটরসাইকেল চোরাইচক্রের মূলহোতা

চট্টগ্রাম •

মামুনুর রশিদ (৪২)। একসময় চাকরি করতেন পুলিশে। কিন্তু বাহিনীর শৃঙ্খলা মানতে পারেননি। বরং পুলিশের পোশাক পরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে পড়েন জড়িয়ে। শেষপর্যন্ত চাকরি টেকাতে পারেননি। কিন্তু অপরাধী মানে না কোনো আইন। চাকরি যাওয়ার পর নাম লেখান চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রেতার খাতায়। র‌্যাবের খাতায় তিনি এই চক্রের মূলহোতা হিসেবে চিহ্নিত। পুলিশে থাকার সুবাদে আইনের খুঁটিনাটি জানা থাকায় চুরির কাজে আইনের ওইসব ধারার প্রয়োগ ঘটাতেন। এতে বারবার পার পেয়ে গেলেও এবার আর শেষ রক্ষা হলো না তার।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ইপিজেড থানার আলীশাহ পাড়া এলাকা থেকে মামুনুর রশিদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। স্বামীর অপকর্মে সহায়তা করায় তার স্ত্রী আকলিমা বেগমকেও গ্রেফতার করা হয়। মামুনুর রশিদ ওই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।

তিনি জানান, মামুনুর রশিদ পেশাদার অপরাধী। একটা সময় তিনি পুলিশে চাকরি করতেন। কিন্তু সার্ভিসরেকর্ড খারাপ থাকায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর তিনি নানা অপরাধের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তার এই কাজে আরও তিনজন যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে তার স্ত্রী আকলিমা মূলতঃ বাইরে থেকে কাস্টমার সংগ্রহ করতেন। এছাড়া রাউজান এলাকার অভি এবং নগরীর হালিশহর থানা এলাকার অনিক তার দলের সদস্য বলে জানা যায়। তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় করে বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তর করা হতো।

তিনি আরও জানান, মামুনের হেফাজতে থাকা জব্দ করা চোরাই মোটরসাইকেলটিও সহযোগী অনিকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। আর অভি ভুয়া কাস্টমস পেপার তৈরি করতো।

নুরুল আবছার আরও জানান, মামুন পূর্বে পুলিশে চাকরি করার সুবাদে তার পরিচালিত চক্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা চোরাই মোটরসাইকেলের প্রত্যেকটির সামনে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে স্থানান্তর করা হতো।